খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭০
জিডি করতে থানায় মানুষের ভিড়

যশোরে তাফসির মাহফিলে ৫ শতাধিক মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে তিনদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে পাঁচ শতাধিক মোবাইল ও নারীদের কানের দুলসহ স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ৩দিনে কোতোয়ালি থানায় জিডি হয়েছে পাঁচ শতাধিক। ভুক্তভোগীরা থানায় লাইন দিয়ে চুরির বিষয়ে জিডি করছেন।

যশোরের পুলেরহাট এলাকায় আদ্-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার বিশাল মাঠে গত বুধবার থেকে তিন দিনের তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সাথে ঢুকে পড়ে বিপুল সংখ্যক চোর ও বাটপার। এসময়ে তাদের কবলে পড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ তাদের মোবাইল হারিয়েছেন। একইসঙ্গে অর্ধ শতাধিক নারী তাদের স্বর্ণালঙ্কার খুইয়েছেন। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাতে মাহফিল চলাকালে শহরের পুলেরহাট এলাকায় আদ্-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় এসব চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী মানুষের কোতোয়ালি থানায় দীর্ঘ লাইন ছিল। তারা মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনায় পাঁচ শতাধিক জিডি করেছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন দিনে মাহফিলে পাঁচ শতাধিক মানুষ মোবাইল হারিয়েছেন বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এর মধ্যে শুধু শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১৩৫ জন জিডি করেছেন। এখনও ভুক্তভোগীরা যেভাবে জিডি করতে থানায় আসছেন, এতে সংখ্যা আরও বাড়বে।

আদ্-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। রাতে বয়ান করেন বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তার আসার খবরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে মাহফিল এলাকায়। শুক্রবার সকালে থেকে শীত উপেক্ষা করে লাখো মানুষ জমায়েত হতে শুরু করেন। বিকাল থেকে মাহফিলের স্থান ছাড়িয়ে সড়ক, মহাসড়কে নারী, শিশু ও পুরুষের ঢল নামে। এদিন সন্ধ্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বয়ান করেন। রাতে আজহারী বয়ান করেন।
পুলিশ জানায়, মাহফিল শুরুর দিন সন্ধ্যা থেকে মোবাইল হারানোর ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় জিডি করতে আসতে থাকেন লোকজন। গত তিন দিনে পাঁচ শতাধিক মানুষ মোবাইল হারানোর বিষয়ে জিডি করেছেন।

কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই লোকজন জিডি করতে আসা শুরু করেন। তাৎক্ষণিকভাবে যারা মোবাইল কিংবা সিমের কাগজপত্র দেখাতে পেরেছেন তারাই জিডি করেছেন। অনেকে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের ফেরত পাঠিয়েছি আমরা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিন দিনের তাফসির মাহফিলে লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল। এর মধ্যে অনেকের মোবাইল ফোন, স্বর্ণের গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে। অনেকে জিডি করেছেন। এ গুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে থানা পুলিশ।

ওসি বলেন, শুধুমাত্র শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৩৫ জন জিডি করেছেন। গত তিন দিনে মোবাইল ও স্বর্ণের গহনা হারানোর জিডি করেছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। তবে যেভাবে মানুষজন আসছেন, এতে জিডির সংখ্যা আরও বাড়বে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!